জেনে নিন শেয়ারর্ড হোস্টিং কি | সুবিধা ও অসুবিধা

বর্তমান যুগে নিজেকে বা নিজের কোনো ব্যবসাকে সকলের সামনে প্রকাশ করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ওয়েবসাইট। সবাই এখন নিজের ওয়েবসাইট তৈরির স্বপ্ন দেখে বা অনেকেই ইতিমধ্যে নিজের সাইট বানিয়েও ফেলছে।

আমরা জানি ওয়েবসাইট তৈরি করতে ডোমেইন হোস্টিং কিনতে হয়। আমরা যখন হোস্টিং কিনতে যাই তখন আমরা প্রায়ই ডেডিকেটেড,শেয়ারর্ড,ভিপিএস,ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং এর কথা শুনি। আমাদের এসব নিয়ে আগে থেকেই জানা দরকার কারণ এসব বিষয়ে না জানলে পরে সমস্যা হতে পারে।

আপনি যদি ডোমেইন হোস্টিং বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা না রাখেন তাহলে আপনি ঠিক মতো ওয়েবসাইট ম্যানেজ করতে পারবেন না। তাই কাজ শুরু করার আগে এসব বিষয় নিয়ে জানা দরকার। আসুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

 

 

Contents

শেয়ারর্ড হোস্টিং কি

 

আসুন আগে হোস্টিং কি এই বিষয় নিয়ে একটু আলোচনা করে নিই।

আমরা সকলেই ফোনে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করে থাকি। হোস্টিংও ঠিক একই রকম মেমোরি যেখানে লেখা,ছবি,ভিডিও,ফাইল রাখা যায় তবে এটি হলো অনলাইন ভিত্তিক মেমোরি যেটা দেখা বা ছোঁয়া যায় না। ওয়েবসাইটের সকল তথ্য রাখার জন্য হোস্টিং ব্যবহার করা হয়।

আপনি এখন আমার যে আর্টিকেল টি পড়ছেন সেটাও একটি হোস্টিং সার্ভারে হোস্ট করা আছে।

আসুন এবার মেইন টপিকে ফিরে যাই।

শেয়ারর্ড হোস্টিং এর নাম থেকেই এই সার্ভিস সম্পর্কে আমরা কিছু ধারণা পেয়ে যাই। আমরা জানি হোস্টিং হার্ডডিস্ক স্পেস,র‍্যাম,সিপিইউর সমন্বয়ে গঠিত। আর শেয়ারর্ড হোস্টিং হলো এই সমন্বিত নির্দিষ্ট পরিমাণ রিসোর্স বা জায়গা ইউজারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া।

 

আসুন উদাহরণের মাধ্যমে বোঝা যাকঃ

ধরুন একটি সার্ভারে ২০ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, ২০ জিবি র‍্যাম এবং i৫ প্রসেসর আছে। এখন আপনি এই সার্ভার থেকে ১ টেরাবাইট সার্ভার স্পেস আপনার জন্য বুক করলেন বা নিদিষ্ট সময়ের জন্য কিনে নিলেন এবং আপনার সাথে আরও ১৯ জন একই প্যাকেজ বুক করলো।

আর একটু সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেই।

ধরুণ কেউ একটি বিল্ডিং বিক্রি করবে যেখানে মোট ১০টি ফ্ল্যাট আছে। আপনার একা পক্ষে তো পুরো বিল্ডিং কেনা সম্ভব না তাই আপনি আরো ৯ জন কে নিয়ে মোট ১০ জনে বিল্ডিং টি কিনলেন মানে ১০ জনে শেয়ার করে বিল্ডিং কিনে আপনারা ১ টি ফ্ল্যাট ব্যবহার করবেন।

শেয়ারর্ড হোস্টিং ও ঠিক এমনই।

এখানে মূলত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রিসোর্স অনেকজন মিলে শেয়ারে ইউজ করার জন্য যে হোস্টিং প্যাকেজ ব্যবহার করা হয় তাকে শেয়ারর্ড হোস্টিং বলে।

শেয়ারর্ড হোস্টিং কিভাবে কাজ করে

 

প্রথমে কোনো একটি হোস্টিং প্রোভাইডার নিদিষ্ট কিছু হোস্টিং স্পেস যেমনঃ ১০ জিবি/২০ জিবি নিয়ে থাকে। তারপর সেই স্পেস টুকুকে সে তার ইচ্ছা মতো ভাগ করে থাকে। সে যত টুকু করে স্পেস, র‍্যাম,সিপিইউ ঠিক করে দিবে কেউ যদি হোস্টিং অর্ডার করে তাহলে অটোমেটিক ভাবে সে ততটুকু স্পেস পেয়ে যাবে।

নতুনদের জন্য এটি অনেকক ভালো সার্ভিস।

একটা সার্ভার অনেক জন মিলে ব্যবহার করা হয় বলে সাইটের পারফর্ম্যান্স তেমন একটা ভালো হয় না তবে দামে কম থাকায় এটি অনেকে ব্যবহার করে থাকে।

 

 

শেয়ারর্ড হোস্টিং কেন ব্যবহার করবো

 

ধরুন আপনি একটা পোর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরি করবেন কিন্তু তাতে তো আপনার ৫/১০ জিবি স্পেস লাগবে না,তাই না?

আমরা অনেকেই কিছু সাইট বানিয়ে থাকি যেগুলো খুব বেশি একটা ফাইল থাকে না বা বেশি স্পেস লাগে না।
এসব কাজের ক্ষেত্রে শেয়ারর্ড হোস্টিং অনেক কার্যকর। কারণ আপনি কম টাকায় কম স্পেস নিয়েই কাজ করতে পারবেন।

আর এই ধরনের হোস্টিং ম্যানেজ করা একদম সহজ কাজ।

তা আপনি যদি ছোট কোনো ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে শেয়ারর্ড হোস্টিং দিয়ে শুরু করতে পারেন।

 

 

শেয়ারর্ড হোস্টিং কোথায় থেকে কিনবো

 

বর্তমানে দেশি বিদেশী সকল হোস্টিং কম্পানি থেকেই আপনি শেয়ারর্ড হোস্টিং কিনতে পারবেন। আপনার যদি ডুয়েল কারেন্সি কোনো কার্ড না থাকে তাহলে আপনি দেশীয় কোনো কম্পানি থেকে শেয়ারর্ড হোস্টিং কিনে কাজ করতে পারেন।

 

অনেক কম্পানি নানা উৎসবে অফার দিয়ে থাকে। সেসয়ম আপনি আরো কম টাকায় হোস্টিং কিনতে পারবেন।

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা হোস্টিং কম্পানি AmarHoster থেকে আপনি খুব সহজেই শেয়ারর্ড হোস্টিং কিনে কাজ শুরু করে দিতে পারবেন।

 

শেয়ারর্ড হোস্টিং এর সুবিধা

 

শেয়ারর্ড হোস্টিং ব্যবহার করলে আপনি অনেক ধরনের সুবিধা পাবেন। নিচে এগুলো আলোচনা করা হলোঃ

 

কম মূল্যঃ

বাকি সকল হোস্টিং থেকে এ ধরনের হোস্টিং এর দাম তুলনামূলক ভাবে কম হয়ে থাকে। তাই যে কেউ কম টাকা বিনিয়োগ করেই একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারে।

টেকনিক্যাল জ্ঞান এর প্রয়োজন নেইঃ

একটি সম্পূর্ণ সার্ভার পরিচালনা করতে গেলে অনেক কিছু বিষয়ে ধারণা রাখতে হয় তবে এ ধরনের হোস্টিং ব্যবহার করতে আপনার তেমন কিছু না জানলেও চলবে।

সহজে ম্যানেজ করা যায়- শেয়ারর্ড হোস্টিং ম্যানেজ করা অনেক সহজ। এখানে কোন ধরনের জটিল কোন বিষয় থাকেনা। বিশেষ করে কন্ট্রোল প্যানেল গুলো সম্পর্কে আপনার ধারনা থাকলেই সহজেই শেয়ারর্ড হোস্টিং ম্যানেজ করতে পারবেন।

আপনি যদি ইউটিউবে ভিডিও দেখে সিপ্যানেল নিয়ে ভালো করে একটু ধারণা নিতে পারেন তাহলেই আপনি আপনার সাইটটিকে খুব সহজেই ম্যানেজ করতে পারবেন কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই।

 

প্রথমে আপনাকে AmarHoster.com এ গিয়ে পছন্দ মতো একটি প্যাকেজ অর্ডার করে পেমেন্ট করতে হবে। তারপর তারা আপনার প্যাকেজটি একটিভ করে দিবে এবং আপনার আপনার ওয়েবসাইটটি রান করে দিবে।
তারপর আপনার তেমন আর কোনো কাজ করতে হবে না।

 

 

শেয়ারর্ড হোস্টিং এর অসুবিধা

 

সুবিধার পাশাপাশি এর কিছু অসুবিধা আছে। নিচে আলোচনা করা হলোঃ

 

আরো পড়ুনঃ

 

নিয়ে নিন কিছু জনপ্রিয় ওয়ার্ডপ্রেস এসইও প্লাগইন | ওয়ার্ডপ্রেস এসইও

লিমিটেড ফিচারর্সঃ

একটি সার্ভার অনেকে মিলে ব্যবহার করা হয় বলে এখানে কিছু কিছু ফিচার্স বন্ধ করা হয়ে থাকে।

 

স্লো স্পীডঃ

একটি সার্ভারে অনেক গুলো সাইট হোস্ট করা থাকে বলে সাইটের স্পীড কিছুটা কম থাকে। তবে ছোট সাইটের জন্য এটি ভালো কাজ করে।

Leave a Comment